যারা ঘনবসতিপূর্ন ও বসবাসের অনুপযোগী আমাদের এই প্রানের শহরের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে চলতে ক্লান্ত হাপিঁয়ে উঠেছেন তারা একটু সময় করে কিছু দিনের জন্য নিজেকে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যান।
নিজের চোখকে উপহার দিন খুব সুন্দর নিরিবিলি কোনো এক জায়গা। যেখানে আপনি দেখতে পাবেন প্রকৃতির এক অপার সৌন্দর্য, নিঃশ্বাস নিতে পারবেন প্রান খুলে !!
যারা প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে নিজেকে বিলিন করে দিতে চান, পছন্দ করেন দ্বীপ, সবুজ শস্য, বিশাল নদীর পানির ঢেউ, পাহাড়, তারা ঘুরে আসুন বাংলার বুক চিড়ে মনোরম প্রকৃতির খোজে। একটু চোখ বুলিয়ে দেখলেই পেয়ে যাবেন ভোলার চরফ্যাশন কুকরী মুকরী |
কুকরী মুকরী
কুকরী মুকরী বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বন্যপ্রানী অভয়াবণ্যে হেসেবে পরিচিত। এক সময় এখানে অনেক ইদুঁর ও কুকুর পাওয়া যেতো! তাই এর নাম করা হয় কুকরী মুকরী হিসেবে।
প্রকৃতির এক অপূর্ব সৌন্দয্যতে ভরপুর ভোলার চরফ্যাশন কুকরী মুকরী এলাকাটি ! চোখ ধাঁধানো সবুজের সমারোহ আর শান্ত নিশ্চুপ এক প্রকৃতি। যাওয়ার পর চোখ যতদূর যায় শুধু পানি আর পানি, যেখানে আপনি চাইলেই মাছ ধরতে পারেন। নদী, পানি, কেওড়া,, বন ও আসেপাশের পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে। আপনি হারিয়ে যাবেন নতুন অন্য এক দিগন্তে! এ যেনো সৃষ্টিকর্তার এক অপূর্ব সৃষ্টি।
চাইলেই সেখানে নৌকা দিয়ে নদী ভ্রমণ, সেই নদীতে গোসল করা, গহীন অরন্যতে ঘুরে বেরানো, মাছ ধরা, উপভোগ করতে পারেন। বনে পেয়ে যাবেন হরিণ ও বানরের সাথে দেখা। সেখান থেকে বিকেলে যাবেন নারিকেল বাগানে। সেখানে দেখতে পারবেন ম্যানগ্রোভ বন ও বিচ।
এখানে সুন্দরবনের সুন্দরী, গেওয়া,পশুর, কেওড়া, নারিকেল, বাশ ও বেত পাওয়া যায়।প্রানীদের মাঝে দেখতে পাবেন চিত্রা হরিণ, বানর, শিয়াল, উদবিড়াল ইত্যাদি অনেক নাম না জানা বহু প্রানি। বক, শঙ্খচিল, মথুরা, বন মোরগ এর মতো অনেক অজানা পাখিরা আকাশে উড়ে বেড়ায়।
শীতকালে এখানে অতিথি পাখিরা ভিড় জমায়। চর কুকরী মুকরী দিয়ে বুক চিড়ে যায় ভাড়ানি খাল মেঘনা নদী হয়ে আছড়ে পড়েছে বঙ্গোপসাগরে। কুকরী মুকরী সাগর পাড় থেকে সূযোর্দয় ও সূর্যাস্ত অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করা যায়। প্রকৃতির মৃদু বাতাস শরীরের প্রশান্তি বাড়ায়।
তো আর দেরি কেনো?
এখনি চলে যান এই অদেখা এতো সুন্দর একটি মনোরম পরিবেশে।
কিভাবে যাবেন ভাবছেন???
খুব সহজে আপনি ও যেতে পারেন এত সুন্দর একটি জায়গায়।
ঢাকার সদরঘাট থেকে সকাল ৮:৩০ এ তাসরিফ লঞ্চে করে চরফ্যাশন যাবেন।ভাড়া নিবে ২০০/৩০০টাকা।আর কেবিনে গেলে ভাড়া নিবে ৮০০থেকে ১৫০০টাকা।
সেখানে নেমে বাইকে অথবা লেগুনায় করে যেতে হবে কচ্ছপিয়া ঘাটে।সেখান থেকে খেয়া লঞ্চে করে আপনি ও যেতে পারেন এই প্রাকৃতিক ও মনোরম সুন্দর এলাকায়।
আমাদের পোস্টটি যদি কিছুটা হলেও ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করবেন এবং অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন।
এবং অবশ্যই আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে ফেইসবুক গ্রুপ শেয়ার করবেন। আপনি আমাদের সাথে ফেইসবুক এ কানেক্ট থাকতে পারেন ।
বি.দ্র: আপনার পছন্দের জায়গাগুলো যেখানে আপনি এখনও ভ্রমন করেন নি তবে সেখানে যেতে চান! এরকম নিজের সব পছন্দের স্থানগুলোর নাম লিখে ও কিভাবে যেতে হবে তার সকল তথ্যসমূহ জানতে হলে আমাদের ফেসবুক গ্রুপে হেল্প পোস্ট করুন। আমরা আপনার পছন্দের স্থানগুলোর সকল তথ্য দিতে সচেষ্ট থাকবো সর্বক্ষণ।